ঘূর্ণিঝড় আমফানের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত পঞ্চায়েত অফিসে ব্যপক ভাঙচুর চালালেন গ্রামবাসীরা। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের সুমতিনগরের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ততক্ষণে তছনছ হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত অফিস।
গত ২০ মে প্রবল শক্তি নিয়ে সাগরদ্বীপে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেখানে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ঝড়ে একপ্রকার লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে গোটা সারগদ্বীপ। অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো দূর অস্ত, উলটে নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত শাসক তৃণমূল। ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে তালিকায় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের নাম।
এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিলই। সোমবার তা চরম আকার নেয়। ধসপাড়া সুমতিনগর ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের সামনে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তাতেও পঞ্চায়েতের তরফে কোনও আশ্বাস না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এর পর শুরু হয় ভাঙচুর। পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ার টেবিল আসবাব বাইরে বার করে এনে পিটিয়ে পিটিয়ে ভাঙে জনতা।
এর পর রোষ গিয়ে পড়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সাগরিকা আড়ি ও গয়ারাম মণ্ডলের ওপর। তাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় জনতা। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা যদিও এদিনের বিক্ষোভের দায় বিজেপির ওপরে ঠেলেছেন। তিনি বলেন, ‘লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে বিজেপি এসব করাচ্ছে। যোগ্যা প্রত্যেকের নাম ত্রাণপ্রাপকদের তালিকায় রয়েছে। সবাই ত্রাণের টাকা পাবেন। একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’