সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে ফের একবার পঞ্চায়েতের কাজকর্মের সমালোচনায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কৃষ্ণনগরের সাংসদের অভিযোগ, জেনে বুঝে করোনা রোগীদের লুকিয়ে রাখছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা।
শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে মহুয়া লিখেছেন, তেহট্ট ব্লকের বেতাই ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভিনরাজ্য থেকে ফিরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়ার পরিবর্তে লুকিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয়রা তা জানলেও প্রশাসনকে জানাননি। ফলে ওই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর গোটা এলাকাকে কোয়ারেন্টাইন করতে হয়েছে।
দিন কয়েক আগে পঞ্চায়েতের কাজ করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া। তিনি বলেন, ‘ই-টেন্ডার করার ভয়ে ২ লক্ষ টাকার বেশি খরচের কাজ করে না পঞ্চায়েতগুলি। ফলে প্রতি বছর পঞ্চায়েত থেকে কোটি কোটি টাকা ফেরত চলে যায়।’ কেন্দ্রের বরাদ্দ সমস্ত টাকা পঞ্চায়েত খরচ করতে পারলে গ্রামে একটাও কাঁচা রাস্তা থাকবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মহুয়ার এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মুখ খুলে দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছেন তিনি। অন্য অংশের মতে, পঞ্চায়েত স্তরে যে সংকীর্ণ রাজনীতি চলে তা মেনে নিতে পারছেন না বহুজাতিক সংস্থার উচ্চ পদে কাজ করে আসা বিদেশ ফেরত মহুয়া।