পানিহাটিতে দই চিড়ের মেলা বা দণ্ড মহোৎসবে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে ৩জনের। মর্মান্তিক এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভক্তদের একাংশের দাবি, ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে এলাকায় প্রচুর পুলিশ দেখা গিয়েছিল। তার আগে এলাকায় পুলিশ কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী সেভাবে ছিলেন না। এনিয়ে কী বলছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা?
তিনি বলেন, পুলিশের বড় অ্য়ারেঞ্জমেন্ট ছিল। সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকরাও ছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা ছিলেন। হেলথের লোকজন ছিলেন। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের লোকজন ছিলেন। প্রশাসনের আধকারিকরা ছিলেন। মেডিক্য়াল টিমও ছিল। পানিহাটি পুরসভা থেকে লোকজন ছিলেন। কিন্তু আসল সমস্যাটা হল এত গরম পড়ে গিয়েছে। শরীর থেকে জলীয় পদার্থ বেরিয়ে যাচ্ছে। যাতায়াতেরও যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল। যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল এলাকায়। ফ্লোটিং ক্রাউড ছিল। কোনও জায়গায় অত্যাধিক ভিড় হয়নি। দাবি পুলিশ কমিশনারের।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন মেলাতে এত ভিড় হবে সেটা আগেই আঁচ করেছিল পুলিশ। তারপরেও কেন এই পরিস্থিতি? গরম পড়বে তা নিয়ে তো আবহাওয়ার আগাম রিপোর্টও ছিল। সেক্ষেত্রে আগে কেন সতর্ক হল না পুলিশ? একেবারে এত মানুষকে কেন ছোট জায়গার মধ্যে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হল? এর দায় কে নেবে?
তবে জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।