বিরোধীদের বিক্ষোভে অবশেষে বাতিল করতে হল চুঁচুড়া পুরসভার নিয়োগের প্যানেল। এই নিয়ে তৃণমূলের জেলার ২ জনপ্রতিনিধির ২ রকম বক্তব্যে প্রথমে ধোঁয়াশা তৈরি হলেও পরে তা স্পষ্ট করে দেন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হামিক।
চুঁচুড়া পুরসভার ৭৬টি পদে নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার। যদিও আইনজীবী তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই নিয়োগে অস্বচ্ছ্বতা রয়েছে। দুই নেতার দুরকম মন্তব্যে যখন তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রায় প্রকাশ্যে তখন ময়দানে নামেন ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ বলেন, ‘চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাই এই নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। কয়েকজনের সুবিধার জন্য দলের বদনাম মেনে নেওয়া হবে না।’
বলে রাখি, চুঁচুড়া পুরসভার মজদুর ও পিওনের ৭৬টি পদের জন্য গত ১ মার্চ পরীক্ষা হয়। ৪ ও ৬ মার্চ দফায় দফায় প্রকাশ করা হয় কৃতকার্যদের নাম। এর পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হলে দেৎা যায় তাতে রয়েছে পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সৌমিত্র মালাকার। এছাড়া রয়েছেন পুরসভার একাধিক বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠরা।