বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > রবি কন্যা পাপিয়া পেলেন জেলা সভাপতির পদ, কৌশলী পদক্ষেপ রাজ্য তৃণমূলের !

রবি কন্যা পাপিয়া পেলেন জেলা সভাপতির পদ, কৌশলী পদক্ষেপ রাজ্য তৃণমূলের !

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও তাঁর কন্যা পাপিয়া ঘোষ (ফেসবুক)

বলা ভালো এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।

দলের কোচবিহার জেলা সভাপতির পদ আগেই খোয়া গিয়েছিল প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। এনিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। এবার তাঁর মেয়ে পাপিয়া ঘোষকে একেবারে দার্জিলিং সমতলে তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদে বসিয়ে রবির ক্ষতে কার্যত প্রলেপ দিল দল। রঞ্জন সরকারকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সেই চেয়ারে বসানো হয়েছে রবি কন্যা পাপিয়া ঘোষকে। কিন্তু কেন পাপিয়া ঘোষকে এই পদে বসানো হল?

 

 দলের একাংশের মতে, দার্জিলিং সমতলে রঞ্জন সরকার ও গৌতম দেবের মধ্য়ে দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়়ছিল। সেটা মেটাতেও নতুন মুখ খুলছিল দল। অন্যদিকে কোচবিহারেও দ্বন্দ্ব এড়াতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে আর জেলা সভাপতির চেয়ারে বসাতে চায়নি দল। তবে তিনি যাতে এব্যাপারে ক্ষুব্ধ না হন সেকারণে তাঁর মেয়েকে একেবারে পাশের জেলায় সভাপতির চেয়ারে বসিয়ে কৌশলী পদক্ষেপ নিল দল। বলা ভালো এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। দলের একাংশের মতে বিগত দিন বার বার  বাবা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নির্বাচনী প্রচারে বের হতেন পাপিয়া। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেই বড় হয়েছেন তিনি। বিবাহসূত্রে বাগডোগরায় থাকেন তিনি। সেই পাপিয়াতেই ভরসা রাখল দল। পাপিয়া বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা পালন করব।

 

তবে এতসব কিছুর পরেও প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। এবার বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে জেলায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। অন্য়দিকে শিলিগুড়ির গৌতম দেবের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দ্বন্দ্ব বার বারই প্রকাশ্যে এসেছে। সেই গৌতম দেব আবার তিন জেলায় নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন। সেসব সামলে আদৌ কতটা তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন পাপিয়া ঘোষ?  

অন্যদিকে  দলের পার্বত্য শাখায় এলবি রাইয়ের বদলে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রীকে জেলা সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। এলবি রাইকে পার্বত্যশাখার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য়দিকে মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সুস্মিতা বসুকে সরিয়ে জ্যোতি তিরকেকে বসানো হয়েছে। সমতলের জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান করা হয়েছে অলোক চক্রবর্তীকে। 

 

বন্ধ করুন