পড়া পারেনি ছাত্র। তাই চড় মেরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের গালে দাগ বসিয়ে দিলেন গৃহ শিক্ষিকা। ঘটনার জেরে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে ছাত্রের গালে। এই ঘটনায় গৃহ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রের পরিবার। ঘটনাটি হুগলির চুঁচুড়ার। ছাত্রের বাবা-মা গৃহ শিক্ষিকার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
স্কুলেই লজেন্স দেওয়ার লোভ দেখিয়ে খুদে পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থা, ধৃত প্রধান শিক্ষক
ছাত্রের মা জানান, তার মেয়ে এবং ছেলে ওই গৃহশিক্ষিকার কাছে টিউশন পরে। তাদের গৃহশিক্ষিকার নাম নমিতা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ব্যান্ডেলের কৈলাসনগরের বাসিন্দা। তার বাড়িতেই দুই ভাইবোনে পড়তে যেত। শুক্রবারও তারা নমিতার কাছে পড়তে গিয়েছিল। ছাত্রের মা তাকে আনতে গিয়ে দেখেন ছেলের গালে কালশিটে দাগ রয়েছে। এরপর ছেলেকে জিজ্ঞেস করতে তিনি জানতে পারেন যে পড়া না পারার কারণে গৃহ শিক্ষিকা তাকে চড় মেরেছেন।
বাড়ি ফিরে এসে ঘটানায় প্রথমে ছেলেকে চুঁচুড়া ইমামবড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর থানায় অভিযোগ জানান। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি ঘটনার পর থেকে শিশুটি আতঙ্কে রয়েছে। যদিও ঘটনা পর অবশ্য শিক্ষিকা কোনও কিছু মন্তব্য করতে চাননি। তবে তার স্বামীর দাবি, ওই ছাত্রের গালে সামান্য চড় মেরেছিল। খুব বেশি জোরে চড় মারেনি। তবে কীভাবে এরকম দাগ পড়ল জানিনা। তিনি জানান আপাতত তিনি বাইরে রয়েছেন। বাড়ি যাওয়ার পর তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলবেন।