মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি গিয়েছে আগেই। সেটাও আবার হাইকোর্টের নির্দেশে। এবার 'চাকরি' গেল খোদ পরেশ অধিকারীরা। মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পরেশ। এতদিন মেখলিগঞ্জে ডাকাবুকো নেতা পরেশ অধিকারীকে লাল বাতি লাগানো গাড়ি চেপেই ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। তবে এদিন পদ যাচ্ছে এটা আঁচ করেই তিনি আর লালবাতি লাগানো গাড়িতে চাপেননি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে তিনি এলেন স্কুটিতে চেপে, এমনটাই খবর।
একসময়ে বাম জমানায় মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী। তৃণমূল জমানায় তিনি ঘাসফুল শিবিরে ভিড়ে গিয়েছিলেন। এরপর শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীর চেয়ারও পেয়ে যান। কিন্তু তাঁর মেয়ের চাকরির কতটা বৈধ পথে হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এনিয়ে মামলাও হয়। এরপর আদালত তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলে আসার বিনিময়ে তিনি মেয়ের চাকরি জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও কেন দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরেও।
এদিকে মন্ত্রিত্বের পদ থেকে সরাতে দলের অন্দর থেকেই দাবি উঠেছিল। কিন্তু তারপরেও লালবাতি লাগানো গাড়ি চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন মন্ত্রিত্ব থেকে তাঁকে যে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা আগাম আঁচ করেছিলেন প্রাক্তন বাম নেতা। আর কোনও ঝুঁকি নেননি তিনি। রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিংয়ে একেবারে সাধারণভাবে স্কুটিতে চেপে তিনি হাজির হন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। মন্ত্রিত্ব খোয়ানো প্রসঙ্গে তাঁর দাবি দল যে দায়িত্ব দেবে সেই অনুসারে কাজ করব। দলের উচ্চ নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মাথা পেতে নেব।