মুর্শিদাবাদে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুর্শিদাবাদের লালবাগে নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশন ময়দানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করেন যে কারোর প্ররোচনায় পা দিয়ে ওপারে যাওয়া চলবে না। তিনি জানিয়েছেন, কারো লক্ষ্য হল দুই দেশের মধ্য়ে গণ্ডগোল বাধিয়ে সরে পড়া। তাই কোনও মতে প্ররোচনায় পা দেওয়া চলবে না। সেই সঙ্গেই সীমান্তে শান্তিরক্ষার জন্য বিএসএফকে এগিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।
বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, মুর্শিদাবাদে সীমান্ত রয়েছে। সেই সীমান্ত বিএসএফ দেখুক। আমাদের উপর অত্য়াচার হলে আমরা দেখব। তিনি সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে বলেন, দয়া করে কারও প্ররোচনায় ওদিকে যাবেন না। কারণ অনেকের উদ্দেশ্য় হল দাঙ্গা বাঁধিয়ে সরে পড়া। আমি চাই সীমান্তে বিএসএফ দায়িত্ব নিক। যাতে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আমি লোকাল পুলিশকে বলব তাঁরা যেন মাইকিং করে ফিরে আসতে বলেন। নিজের হাতে কেউ যেন আইন তুলে না নেন তা নিয়েও সতর্ক করেন তিনি।
মমতা বলেন, আমি চাই সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেবে বিএসএফ।
সেই সঙ্গেই গঙ্গাভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মমতা বলেন, এখানে দেড় হাজার হেক্টর জমি ধসে যাচ্ছে গঙ্গা ভাগীরথীর জলে। বার বার কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখেছি। পাত্তা দিচ্ছে না। নির্বাচনের সময় হিন্দু মুসলিম রাজনীতি করতে আসে। ভাই বোনদের মধ্য়ে ভাগাভাগি করতে আসে। যখন বন্যা হয় তাকিয়েও দেখে না। আমি জানি সংখ্য়ালঘু ভাইবোনেরা ঐক্যশ্রী প্রকল্পে চার কোটির বেশি স্কলারশিপ দিচ্ছি।
মমতা বলেন, আগামী দিনে বড় হতে হবে। অনেক বড়। যদি কোনও ভয় আসে বলতে হবে, আমি ভয় করব না ভয় করব না। সবাইকে হাসিমুখে থাকতে হবে। দুঃখ আসবে, আবার ভালো দিন আসবে। বলেন মমতা।
সেই সঙ্গেই মমতা বলেন, ‘লোভ না করলে ভালো থাকবেন। কেউ লোভ করবেন না। সরকারি যে প্রকল্পগুলি হচ্ছে, যদি একটাকাও চায় একটাকাও কাউকে দেবেন না।এটা সরকারের টাকা। এই টাকা নেওয়ার অধিকার গ্রামসভারও নেই, পঞ্চায়েতেরও নেই, জেলা পরিষদেরও নেই। কারোর নেই। যদি কেউ টাকা চায় থানায় গিয়ে ডায়েরি করবেন। যদি পুলিশ ডায়েরি না নেয় তবে আমার মুখ্য়মন্ত্রী সরাসরিতে জানাবেন।’ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।