এক সময়ে অনীত থাপাই ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। এবার নাম না করে অনীতকে নিশানা করে জিটিএ–এর একাংশের অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারদের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিনয় তামাঙ। তাঁর মতে, জিটিএ–এর অফিসার ও ইঞ্জিনিয়াররা পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়েছেন। উল্লেথ্য, কিছুদিনের মধ্যেই পাহাড়ে নতুন দল ঘোষণা করতে চলেছে অনীত থাপা। অন্যদিকে বিনয় তামাঙ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে থাকলেও তাঁর ভবিষ্যত কর্মসূচি স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি জিটিএ–এর প্রাক্তন চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ‘জিটিএ–এর একাংশের অফিসার, ইঞ্জিনিয়াররা জনসেবা না করে বাছাই করা কারো সেবায় নেমেছেন। একটা দলের এক দিনের অনুষ্ঠানের জন্য এরা চাঁদা আদায় করছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’ জানা যাচ্ছে, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর নতুন দল ঘোষণা করতে চলেছেন অনীত থাপা। তাঁর চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেজন্য পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা তোলার কর্মসূচিও চলছে। এবার সেই দলীয় কর্মসূচিতে জিটিএ–এর একাংশের অফিসারদের জড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গই তুললেন বিনয় তামাঙ । তবে এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি অনীত থাপা। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে দার্জিলিঙ হিমালয়ান রেলওয়ে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে পাহাড়ের বিভিন্ন স্টেশন বিক্ষোভ আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন অনীত থাপার অনুগামীরা।
অনীত থাপা যখন নতুন দল ঘোষণার পথে, তখন পাহাড়ের মাটিতে সুভাষ ঘিসিংয়ের দল জিএনএলএফের মধ্যেও ভাঙন দেখা দিচ্ছে। দার্জিলিঙ টাউন কমিটির ৩২ জন দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছে। সবাই জিএনএলএফের নেতা অজয় এডওয়ার্ডের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। মন ঘিসিংয়ের সঙ্গে অজয় এডওয়ার্ডের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বামেরা সম্প্রতি পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের দাবি তুলেছে। পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ যে বদলাচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার এই প্রেক্ষাপটে বিমল গুরুঙ বা বিনয় তামাঙদের ভূমিকা কী হয়।