বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থেকে থেকেই অনেক তৃণমূল নেতাকেই কটাক্ষ বা বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করেই ‘ভাষা সংযত রাখার’ বার্তা দিয়েছিলেন। আর এবার নাম না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। রবিবার মালদায় এক রাজনৈতিক সভা থেকে পার্থ ইঙ্গিত করেন যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হয়ত বিজেপির টিকিটে সাংসদ হতে চান।
রবিবার মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি এক ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। এখন আবার কেউ কেউ বিজেপির সাংসদ হতে চাইছেন কিনা জানি না।’ এদিরে পার্থ আরও বলেন, ‘চতুর্দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসার রাজনীতির একটা ষড়যন্ত্র তৈরি হচ্ছে। শনিবার আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল কাঁথিতে। সভা বানচাল করার জন্য আগের দিন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের তিনজনকে খুন করা হয়েছে।’
এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগে পার্থ বলেন, ‘একজন বিশ্বাসঘাতক দলের সঙ্গে বেইমানি করেছে। সিবিআই ইডির ভয়ে নিজের মেরুদণ্ড বিজেপির কাছে বিক্রি করে এখন আমাদের সবাইকে সিবিআই ইডির ভয় দেখাচ্ছে। বলছি, আপনার ক্ষমতা থাকলে জেলে ভরে দেখান। আমরা ২১৩ বিধায়ক আছি। ২১২ জন বিধায়ককে জেলে ঢুকিয়ে দিলেও একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাদা শাড়ি পরে বাইরে থাকবেন। আপনারা কেউ ঠেকাতে পারবেন না।’
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন সেচমন্ত্রী। পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘যিনি আগের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি ভুল করতে পারেন। তাঁকে তো দলের পদে রাখা হয়নি। তাঁকে তো মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তৃণমূল কংগ্রেস তার পাশে দাঁড়াবে না।’