পঞ্চায়েত ভোটে একদা শক্তঘাঁটি ঝাড়গ্রামে ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম আসন দখল করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতার দলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম নেই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসে।
জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম শহরে সভা করতে এসেছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হল। কারণ ওই সভায় তেমন লোক হয়নি। তখনই চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে নেমেছিল দল। কিন্তু দোষারোপ ও পালটা দোষারোপ সবটাই ভেস্তে গিয়েছে। তবে লোক না হওয়ার জন্য ছত্রধর মাহাতোকে দায়ী করে মহাসচিবের কাছে নালিশ করেছেন জেলার এক তৃণমূল নেত্রী।
জেলা তৃণমূলের অন্দরে এখন শোনা যাচ্ছে, মহাসচিব পার্থের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো–অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিরবাহা সোরেন, বিরবাহার স্বামী তৃণমূলের এসটি সেলের রাজ্য সভাপতি রবিন টুডুর প্রাধান্য রয়েছে জেলা সংগঠনে। তাঁরাই ছত্রধরকে মেনে নিতে পারছেন না। এমনকী মেদিনীপুরের জনসভায় ছত্রধরকে মঞ্চের সামনে ডেকে দলনেত্রী নিজে বার্তা দিলেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম গ্রামীণ ব্লক নেতৃত্বকে শহরে মাঠ ভরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওদের ২,০০০ লোক নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু ওরা ১৫০ লোক এনেছিল।’ আসলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাঠে নেমে সেভাবে রাজনীতি করেননি। এটা বারবার বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়। তাই তাঁর সভায় ভিড় হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সূত্রের খবর, মাঠ ভরানোর জন্য জেলা ও ব্লকের বেশিরভাগ নেতা উদ্যোগই নেননি। জেলা সভাপতি দুলালের দাবি, ‘মহাসচিবের সভার ব্যাপারে গত ৩ ডিসেম্বর জেলা কমিটির বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯৮ জন। সবাইকেই খবর দেওয়া হয়েছিল। ১০–১২ জন উপস্থিত ছিলেন।’
আর ছত্রধর মাহাতো বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি ব্লক থেকে লোক ভরানোর জন্য অনেক যানবাহন প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন না মেলায় কিছু সমস্যা হয়েছে।’