পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর গবেষণাপত্রের বহু বিষয়বস্তু মৌলিক নয়। তা অন্য কোথাও থেকে ‘ছেপে দেওয়া হয়েছে’। এই অভিযোগ একবার আগেও উঠেছিল। তবে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ফের এই একই অভিযোগ উঠল। এর আগে গবেষণা চলাকালীন কোর্সওয়ার্কের হাজিরা নিয়ে বতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কের আগুন নিভতে না নিভতেই নয়া বিতর্ক শুরু হল পার্থকে ঘিরে।
অভিযোগ, যেখান থেকে গবেষণাপত্রে লেখা ‘চুরি’ করা হয়েছে, তার ঋণস্বীকারও করা হয়নি। গোটা গবেষণাপত্রের আর্ধেকের বিষয়বস্তুই অন্য কোথাও থেকে নেওয়া বলে অভিযোগ। এর আগে কোর্সওয়ার্কে হাজিরা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য, পিএইচডি করতে কোর্সওয়ার্কে ৭৫ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক। নয়ত পরীক্ষায় বসা যায় না। তবে পার্থ ৪৮ দিন কোর্সওয়ার্কের মধ্যে মাত্র দুই দিন হাজির ছিলেন। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর এখন অভিযোগ উঠেছে, ২২৬ পাতার যেই গবেষণাপত্রটি পার্থ জমা দিয়েছেন, তা তিনি নিজে লেখেননি। অভিযোগ, একাধিক শিক্ষককে পার্থবাবুর গবেষণাপত্র ‘তৈরি’ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, পরে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক এক শিক্ষককে দিয়ে পার্থবাবুর গবেষণাপত্রের কাজ করানো হয়। পরবর্তী কালে তাঁকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপদে বসানো হয় বলেও দাবি।
এদিকে এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে পার্থর গাইড অনিল ভুঁইমালির দিকেও। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অর্থনীতির অধ্যাপক এবং পরে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়া অনিল অবশ্য ‘টুকলির’ অভিযোগ মানতে নারাজ। অনিলবাবুর দাবি, ‘যে শিক্ষকের কথা বলা হচ্ছে, তিনি আমারই ছাত্র। তিনি পার্থবাবুর লেখা কম্পিউটারে শুধু কম্পোজ করে দিতেন।’ অনিলবাবুর আরও দাবি, ‘গবেষণাপত্রে মাত্র ২ শতাংশ নকল রয়েছে। যা অনুমোদনযোগ্য।’ যদিও দাবি, গবেষণাপত্রের ৫০ শতাংশের বেশি টুকলি করা। কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের মেয়ে আত্রেয়ী ঘোষের দাবি গবেষণাপত্রের ৭৪ শতাশং নকল।