রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত দিনে তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরেই তৃণমূলী ঘরানার রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল পার্থপ্রতীম রায়ের। কোচবিহারের রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের স্নেহচ্ছায়াতেই অনেকটা পথ এগিয়ে যান পার্থপ্রতীম। জেলার রাজনীতিতে কাকা- ভাইপো নামেও পরিচিত দুজনে। কিন্তু সেই সুসম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। আর এখন। সেই বিরোধ এমন জায়গায় গিয়েছে যে সভার মধ্যেও এক সময়ের রাজনৈতিক গুরু রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন পার্থপ্রতীম রায়। দল সূত্রে খবর,রবিবার তুফানগঞ্জের কমিউনিটি হলে দলীয় সভা ছিল। জায়গাটি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নির্বাচনী কেন্দ্র নাটাবাড়ির মধ্যে পড়ে। এই কেন্দ্র থেকেই এবার পরাজিত হয়েছেন তিনি। সেই নাটাবাড়িতে দাঁড়িয়েই কার্যত প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে নিশানা করে তোপ দাগলেন তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়।
পার্থপ্রতীম রায় এদিন বলেন, ‘কারও বাড়ি থেকে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনার চেষ্টা হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। দলের গাইডলাইন মেনে, সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালন করতে হবে।’ পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন,' গত ২২ বছর ধরে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জেলা সভাপতির পদে ছিলেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র জেলার বাইরে। জেলা সভাপতি কোনও দলীয় কর্মসূচি এখন নিতে পারবে না। কারও স্বেচ্ছাচারিতা বরদাস্ত হবে না।' এক কথায় সরাসরি হুঁশিয়ারি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে।
কিন্তু কী এমন হল যে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে সভায় এভাবে সুর চড়ালেন পার্থপ্রতীম? দলের একাংশের মতে, জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি নাটাবাড়িতেও নানা কর্মসূচি পালন করার উদ্যোগ নিয়েছেন পার্থপ্রতীম। কিন্তু সেখানে তিনি নানাভাবে বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। কার্যত এর জেরেই তিনি সুর চড়ালেন রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে। তবে প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।