বীরভূমের দুবরাজপুরে তৃণমূলের আইটি সেলের নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হল দলের ব্লক কার্যকরী সভাপতিকে। গত রবিবার নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সদস্য তথা আইটি সেলের নেত্রী সোহিনী সূত্রধরের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় সোহিনীর পরিবারের লোক হেতমপুর ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অভিনিবেশ রায়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করে পুলিশে। ঘটনার ২৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিনিবেশকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবারই তাকে আদালতে তোলা হয়।
সোহিনীর দিদি অঙ্কনা সূত্রধর দাবি করেন, দু'জনে রেজিস্ট্রি বিবাহ করেছিল। আইনি বিবাহ হলেও স্ত্রীকে অস্বীকার করছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা অভিনিবেশ রায়। ঘটনার পর পুলিশের অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রীর বাবা গজানন সূত্রধর। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, 'সোহিনী মারা যাওয়ার পর ওর এক বান্ধবী এসে মেয়ের খোঁজ করছিল। আমি জানি অভিনিবেশই ওকে পাঠিয়েছিল। ও একটা দুর্বৃত্ত। আমি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি ওর বিরুদ্ধে।'
ঘটনার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে দল। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন,'অভিনিবেশের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ ছিল। সে সব রেকর্ড পুলিশের খতিয়ে দেখা উচিত। দল এতদিন কেন তাকে বহিষ্কার করেনি? উপযুক্ত তদন্ত করে পুলিশের উচিত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। ' বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিনিবেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।