পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তাঁকে এমন পদে বসাতে হবে, যে পদের অফিসারকে লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে না। আর কমিশনের সেই পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, যেদিন বিজেপি নেতার হিসাব-বহির্ভূত ৩৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করল জেলা পুলিশ, তার পরদিনই পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হল। এটাই হল ‘মোদীর গ্যারান্টি’। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে কমিশনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
অভিষেক কী বলেছেন?
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে সরানোর যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কমিশন, সেটার ছবি এবং বিজেপি নেতার থেকে বাজেয়াপ্ত করা নোটের ছবি পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, 'গতকাল হিসাব-বহির্ভূত ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডল। যিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর জনসভা মঞ্চে ছিলেন। আর আজ ওই জেলারই পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এটাই মোদীর গ্যারান্টি - ধর্ষক এবং দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষিত জায়গা (প্রদান করা)।'
'বিজেপি নেতার থেকে টাকা উদ্ধার'
রবিবার খড়্গপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পরে রবিবার রাতে বিজেপি নেতার থেকে ৩৫ লাখ থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, লজে বিজেপির জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সমিত মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা ছিলেন। তাঁদের থেকে সেই টাকা উদ্ধার করা হয়। নির্বাচনের আগে টাকা উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি আয়কর দফতরকে জানানো হয়েছে।
যদিও বিজেপির দাবি, আগামী ২৫ মে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার লোকসভা আসনগুলিতে ভোট আছে। আর সেটার কেন্দ্রবিন্দু হল মেদিনীপুর। ওই তিনটি জেলায় পাঠানোর জন্য টাকা রাখা হয়েছিল। কিন্তু ভোটের আগে ষড়যন্ত্র করে তৃণমূল ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়। সমিত দাবি করেছেন যে তাঁর থেকে টাকা পায়নি পুলিশ।
মোদীর সভার ছবি দেখিয়ে তোপ অভিষেকের
প্রধানমন্ত্রীর জনসভা এবং টাকার ছবি পোস্ট করে সোমবার দুপুরেই অভিষেক লেখেন, ‘মঞ্চের উপরে বলেন, খাব না, খেতেও দেব না। আর মঞ্চের নীচে নামলে বলেন যে কালো টাকা জমিয়ে রাখব এবং জমাতে দেব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি নিজের কথায় অনড় থাকবেন এবং গতকাল খড়্গপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পরেই বিজেপি নেতা সমিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন?’