আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল একাধিক স্টেশন। তারপর কেটে গিয়েছে বহু সময়। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি স্টেশনের। রেলের প্যাসেঞ্জার অ্যামিনিটি কমিটির(পিএসি) সদস্যদের সামনে দিঘা–পাঁশকুড়া রেল লাইনের বিভিন্ন স্টেশনের বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে এবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন প্যাসেঞ্জার ফোরাম এবং রেলযাত্রীরা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? ওই কমিটির জোনাল কো–অর্ডিনেটর অভিজিৎ দাস ও অজয় যাদব, সদস্য সুনীল কুমার এবং সিনিয়র ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বালিচক স্টেশন থেকে ভিজিট শুরু করেন। সেখান থেকে পাঁশকুড়া হয়ে তমলুক স্টেশনে পৌঁছন। তারপর কাঁথি ও দিঘা স্টেশন পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনে উঠে আসা ত্রুটি–বিচ্যুতি নিয়ে বৈঠক করেন।
কোথায় কেমন সমস্যা ধরা পড়েছে? ২০২০ সালে আমফান ঘূর্ণিঝড়ে দিঘা–পাঁশকুড়া লাইনে ১২টি স্টেশনে যাত্রীশেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হল্ট স্টেশনে মাথা গোঁজার কিছু নেই। ভেঙে যাওয়া শেড বদল হয়নি। লবণ সত্যাগ্রহ স্মারক, হেঁড়িয়া, নাচিন্দা, শীতলপুর, সুজলপুর–সহ আরও বেশকিছু স্টেশনে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। যাত্রীদের বসার বেঞ্চ নেই।
কী ক্ষোভ জানিয়েছেন যাত্রীরা? তমলুক এবং কাঁথি স্টেশনে যাত্রীদের পক্ষ থেকে পিএসি কমিটির কাছে দিঘা–পাঁশকুড়া লাইনে স্টেশনের বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। সেখানে পানীয় জল, শৌচালয় এবং ভেঙে পড়া যাত্রীশেড–সহ নানা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ তুলে ধরা হয়। তমলুক স্টেশনে তৎকাল টিকিট নিয়ে কালোবাজারির চক্রের কথাও তুলে ধরা হয়। এমনকী পিএসি কমিটির কাছে নালিশ জানানো হয়। এই বিষয়ে পিএসির জয়েন্ট কো–অর্ডিনেটর অভিজিৎ দাস বলেন, ‘মানুষকে সচেতন হতে হবে। লিখিত অভিযোগ করতে হবে। মানুষ যাতে এসব চক্রের খপ্পরে না পড়েন তাঁদের সতর্ক হতে হবে।’