মাঝ রাস্তায় খারাপ হয়ে গেল শিলিগুড়ি থেকে গুয়াহাটিগামী বাস। মালিকের কাছে আকুতি মিনতি করে মিলল না বিকল্প কোনও বাস। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বাসের চাকা খুলে নিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। জলপাইগুড়ির মোহিত নগর এলাকায় খারাপ হয়ে যায় বাসটি। সেখানে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাসের চাকা খুলে নেন।
শিলিগুড়ি থেকে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে বাসটি ৫০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা কাজের জন্য অসমে যাচ্ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দেড় ঘন্টা দেরিতে ছাড়ে বাসটি। দেরি হওয়ার কারণে এদিন ক্ষুব্ধ হন বাসের যাত্রীরা। তবে দেরি হলেও বাসটি ছেড়ে দেওয়ার পর অবশ্য যাত্রীদের ক্ষোভ মিটে যায়।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে জলপাইগুড়িতে যাওয়ার পর। জলপাইগুড়ির মোহিতনগর এলাকায় পৌঁছানোর পরেই বাসের ক্লাচপ্লেট জ্বলে যায়। কিন্তু, এলাকাটি জনমানব শূন্য হাওয়ায় সেখানে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে বাসটি। কোনও সাহায্য না পেয়ে শেষে বাস যাত্রীরা বাসটিকে ঠেলে গোশালা মোড়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেষে মোহিত নগর থেকে তিন কিলোমিটার রাস্তা বাসটিকে ঠেলতে ঠেলতে গোশালা মোড়ে নিয়ে যান যাত্রীরা।
সেখানে গিয়েও বাসটিকে ঠিক করা সম্ভব হয়নি। ফলে যাত্রীরা ফোনে মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প বাস পাঠানোর অনুরোধ জানান।
বাস মালিক অবশ্য বিকল্প বাস পাঠানো হবে বলে যাত্রীদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু দু ঘন্টা কেটে যাওয়ার পরেও বিকল্প বাস না আসায় যাত্রীরা আবার মালিককে ফোন করেন। কিন্তু এরপরে মালিকের মোবাইল ফোন বন্ধ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান যাত্রীরা।
বাসের টিকিটের টাকা না পেয়ে চালক কন্ডাক্টরের সঙ্গে যাত্রীদের তুমুল বচসা বেধে যায়। শেষে অনেক যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা না করে কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে ট্যাক্সি ভাড়া করে গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিক দের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তারা শেষ পর্যন্ত বাসের চাকা খুলে নেয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবি, তাদের কাছে টাকা নেই যা টাকা ছিল তাই দিয়ে তারা টিকিট কেটেছে। ফলে অন্য গাড়ি ভাড়া করে যাওয়ার সাধ্য তাদের নেই। সেই কারণে তারা বাসের চাকা খুলে নিয়েছে। টাকা বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে সে অর্থে তারা গুয়াহাটি যাবে।