চলন্ত এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে আবারও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। একাধিক যাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল, টাকা ছিনতাই করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। কলকাতা থেকে রায়গঞ্জ আসার পথে কলকাতার-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে এই ঘটনাটি ঘটেছে নিউ ফারাক্কা ও মালদা স্টেশন ঢোকার ঠিক আগে। ঘটনায় চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রেল পুলিশ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এক্সপ্রেসে দু দফায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে শুক্রবার ভোরের দিকে নিউ ফারাক্কা স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার আগে একদল দুষ্কৃতী ট্রেনের একেবারে শেষের দিকে থাকা জেনারেল কামরা থেকে যাত্রীদের ব্যাগপত্র ও টাকা পয়সা ছিনতাই করে। এরপর মালদা স্টেশনে ঢোকার আগে ওই ট্রেনের গতি আস্তে হলে অন্য একটি জেনারেল কামরায় দুষ্কৃতীরা উঠে যাত্রীদের ব্যাগপত্র, মোবাইল, টাকা পয়সা সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনতাই করে চম্পট দেয়। বরুণ রায় নামে এক যাত্রীর জানান, তিনি মাকে নিয়ে কলকাতায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। রিজার্ভেশন না পাওয়ায় মাকে নিয়ে তিনি জেনারেল কামরাতেই রায়গঞ্জে আসছিলেন। দুষ্কৃতীরা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তার অভিযোগ, ট্রেনটিতে আরপিএফ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আরপিএফের বিরুদ্ধে নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
একই এক্সপ্রেস ট্রেনে দু-দফায় যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উঠছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। ছিনতাই হওয়া যাত্রীরা সকালে রায়গঞ্জ স্টেশনে নেমে রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।