রক্তের প্রয়োজন ছিল এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। পরিবারের সদস্যরা রক্তের ব্যবস্থাও করেছিলেন। কিন্তু, সেই রক্ত দেওয়া হয়নি রোগীকে। যার ফলে মৃত্যু হল উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল সোদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত ছাত্রীর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম জুলি কুমারী। ওই কিশোরী টিটাগরের বাসিন্দা, টিটাগর আর কলেজের ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে দিন কয়েক আগে জুলিকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। রক্তের প্রয়োজন হলে তার পরিবার দু বোতল রক্ত সংগ্রহ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু, সেই রক্ত রোগীকে না দেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। অন্যদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য তারা রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও রোগীকে অন্য হাসপাতলে নিয়ে যেতে দেরি করেছে তার পরিবার। সেই কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, বেসরকারি হাসপাতালে যখন রেফার করার কথা বলেছিল তার আগেই মৃত্যু হয়েছে রোগীর। সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে পরিবারের সদস্যরা বেসরকারি হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করেন। ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।