চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এবার রোগী পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠল হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের বিরুদ্ধে। শুধু রোগী পরিবারকে মারধরই নয় সংবাদ মাধ্যম এবং এক তৃণমূল নেত্রীর উপরেও জুনিয়র ডাক্তাররা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমনকী মহিলাদেরও রেয়াত করা হয়নি। তাদেরকেও মারধর, হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: গলায় অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মৃত্যু ১৯ বছরের বধূর, নার্সিংহোমে বিক্ষোভ পরিজনদের
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দেড় বছরের একটি শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের পরামর্শে তাদের মহিলা শল্য বিভাগে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু, অভিযোগ ভর্তির পরেও শিশুর চিকিৎসা করেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। তার বদলে তারা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে ব্যস্ত ছিলেন। তখন শিশুর পরিবারের সদস্যরা জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে গিয়ে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করেন। সেই সময় রোগী পরিবারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরেই তারা রোগী পরিবারের লোকজনের ওপর চড়াও হয়। তাদের মারধর করতে শুরু করে।
খবর পেয়ে অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে পৌঁছে যান। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহাও সেখানে পৌঁছন। কিন্তু, তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উলটে জুনিয়র ডাক্তাররা তাদেরকেও মারধর করে। এমনকী তৃণমূল নেত্রীকেও তারা শারীরিক হেনস্থা করেন। পরে সংবাদ মাধ্যম গেলে তাদেরকেউ ছাড় দেওয়া হয়নি। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় থানার বিশাল পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তারা শেষমেষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এই ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী চৈতালি ক্ষোভ প্রকাশ করে জুনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য,, চিকিৎসা না করে মোবাইলে খেলা দেখতে ব্যস্ত ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারা ঠিকমতো কর্তব্য পালন করেননি। এমনকী তাঁকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বিপ্লব হালদার। তিনি জানান, এ বিষয়ে যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবে। তবে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।