এই করোনা আবহে দেশের গরিবদের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কল্যাণে একাধিক কাজ করেছে কেন্দ্র। সোমবার শিলিগুড়িতে দলীয় বৈঠক সেরে এমনই দাবি করলেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘আজ পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর তার জন্য দায়ী একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এদিন লকডাউনের শুরু থেকে দেশবাসীর কল্যাণে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের একাধিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘জনধন যোজনায় দেশের ২০ হাজার কোটি মহিলা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারের থেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন। লকডাউনের পর পরপর ৩ মাস বিনামূল্যে ৩টি গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছেন দেশের ৮ কোটি মহিলা। ৮০ কোটি মানুষ দীপাবলি ও ছটপুজো পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫ কিলো চাল বা গম, সঙ্গে ১ কিলো ডাল বিনামূল্যে পাচ্ছেন। এভাবেই প্রতিটি মানুষের সশক্তিকরণের মাধ্যমে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে কেন্দ্র।’
তাঁর অভিযোগ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের কারণেই আজ প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি থেকে বঞ্চিত বাংলার ৭৬ লক্ষ কৃষক। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ১ মাসের মধ্যে রাজ্যে চালু হয়ে যাবে কৃষকদের স্বার্থে তৈরি এই প্রকল্প। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমরা চালু করেছি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। দেশের ৫৫ কোটি মানুষ প্রতি বছর এই প্রকল্পে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য, কঠিন রোগের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা পান। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা তা থেকেও বঞ্চিত। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
এদিন কটাক্ষের সুরে হিন্দি আর বাংলা মিশিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘আমরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা দিতে চাই পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘হবে না, হবে না, হবে না’। আমার প্রশ্ন, ‘কেন হবে না? এপ্রিল মাসে হতেই হবে। হবে হবে হবে।’ নাড্ডার প্রতিশ্রুতি, ‘আপনারা বিজেপি–র পদ্মচিহ্নে বোতাম টিপবেন আর ওদিকে আয়ুষ্মান ভারত বোতামটা টিপব আমি।’