ওড়িশায় ল্যান্ডফল। ইয়াস তাণ্ডব চালিয়েছেন বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাতেও। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সৈকত শহর দিঘা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতেও জল জমেছে। সব মিলিয়ে একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থা। এসবের মধ্য়েই বিভিন্ন এলাকায় ভরা কোটালের জেরে বেড়েছে নদীর জলস্তর। এর জেরে বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকে। এদিন হাওড়ার ফুলেশ্বরে একাধিক বাড়িতে জল ঢুকে পড়ে। আচমকা জল ঢুকে পড়ায় কোথায় আশ্রয় নেবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না দুর্গতরা। সংসার নিয়ে কার্যত অথৈ জলে পড়়ার অবস্থা। তাছাড়া গোছানো সংসারের এত জিনিসপত্র নিয়ে যাবেনই বা কোথায়। এসবের মধ্যেই রেল লাইনে উঠে আসেন দুর্গতরা। গোটা পরিবার নিয়ে, দুধের শিশু কোলে মহিলাদেরও তখন একেবারে দিশেহারা অবস্থা। শেষ পর্যন্ত জিনিসপত্র নিয়ে রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনেই উঠে পড়েন তাঁরা।
এরপর সেই ট্রেনের মধ্যেই আপাতত মাথা গুঁজেছেন একাধিক পরিবার। বাইরে অঝোর ধারায় বৃষ্টির মধ্যে ট্রেনের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি পান বাসিন্দারা। সেখানেই আপাতত খাওয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। দুর্গতদের দাবি, এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। এর জেরে কোথায় যাবেন সেটা কিছুতেই তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ট্রেনেই আশ্রয়। এদিকে কার্যত লকডাউনের জেরে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। এর সঙ্গেই ঝড়ের জেরেও বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। অন্য়দিকে বিভিন্ন এলাকায় এদিন সরকারি বাসেও আশ্রয় নেন দুর্গতরা।