পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়ে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। সেই খবর পেয়েই কি ইসকন ভক্তদের সীমান্ত পারে বাধা দেয় বাংলাদেশ প্রশাসন? এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে পেট্রাপোল সীমান্তে। সোমবার সেখানে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের বেনাপোল থেকে ভারতে ঢোকেন বেশ কয়েকজন হিন্দু। তাদের মুখে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছার কথা। তবে কার সাহায্যে কী ভাবে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন - আবাসের ঘর পাওয়ার জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে TMC নেতার মারে মৃত্যু বৃদ্ধের
পড়তে থাকুন - 'বাংলাদেশে হিন্দুর ওপর অত্যাচার চলছে, আর পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সীমান্তে উৎসব চলছে'
শুক্র ও শনিবার বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্টে মোট ৮০ জন ইসকন ভক্ত ও সন্ন্যাসীকে সীমান্ত পার করে ভারতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন বৈধ নথি না থাকা সত্বেও বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার তাদের সীমান্ত পার করতে বাধা দিচ্ছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। বাংলাদেশের অভিবাসন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, যাদের বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি অনেকের কাছেই। সোমবার কিছুটা স্পষ্ট হল ইসকন ভক্তদের বাধা দেওয়ার কারণ।
আরও পড়ুন - 'মুখ্যমন্ত্রী মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, সিমি,হুজির নেতাদের টিকিট দিয়েছেন'
সোমবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে পেট্রাপোল সীমান্তে পারাপার। বাংলাদেশ সরকারের বাধা পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পেরেছেন কয়েকজন বাংলাদেশি হিন্দু ও ইসকন ভক্ত। আর সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন সেদেশে হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচারের কথা। এক মহিলা জানান, আমাদের ওপর ওদেশে চরম অত্যাচার করছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করছে। পুজো - আর্চা বন্ধ করে দিয়েছে। শঙ্খ বাজানো যাবে না, ঢাক ঢোল বাজানো যাবে না। মুসলমানদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। ঘরে দরজা দিয়ে বসে থাকতে হবে। তার মধ্যেই এদেশে এসেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থার কথা পৌঁছে দিতে চাই। আশা করি সফল হব।