বিজেপির বিক্ষুব্ধরা একছাতার তলায় এসেছে। তাঁদের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। ভাঙন আটকাতে দিলীপ ঘোষ বার্তা দিয়েছেন। বিজেপি সরকারের আমলে সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মতুয়াদের মন টানতে এই কথা বলেছেন তিনি। আর সোমবার বিক্ষুব্ধদের নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে চড়ুইভাতির। তাই কলকাতা, হুগলি থেকে বিক্ষুব্ধ নেতারা যাচ্ছেন বনগাঁর নহাটায়।
কিন্তু এই চড়ুইভাতির আয়োজন কেন? বিক্ষুব্ধ নেতাদের সূত্রে খবর, এটা আসলে পিকনিক–প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসু থেকে শুরু করে প্রাক্তন সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সূত্রের খবর, সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনীয়া এবং আরও অনেকে। মতুয়া বিধায়করাও থাকবেন ওই চড়ুইভাতিতে। সুতরাং দিলীপের বার্তা চিড়ে ভেজেনি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যেই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়েছেন সাংসদ–বিধায়করা। তার মধ্যে মতুয়াদের পাঁচ বিধায়ক আছেন। তাঁরা এই চড়ুইভাতিতে অংশ নিচ্ছেন বলে খবর। আর বনগাঁয় আজকের চড়ুইভাতি নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বার্তা দিয়েছিলেন, ক্ষোভ–অভিমান দলের ভিতরে বলার জায়গা আছে। প্রকাশ্যে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরে কোনও কথা বলা উচিত নয়। তারপরও চড়ুইভাতি হচ্ছে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে।
উল্লেখ্য, হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর তিনিই এই চড়ুইভাতির আয়োজনের নেতৃত্বে রয়েছেন। এই চড়ুইভাতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের মুণ্ডপাত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বনগাঁ লোকাল থেকে উত্তর কলকাতার রাজপথে পোস্টার পড়েছে। এবারনতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে এই পিকনিক–প্রতিবাদ।