পরপর দুটি অট্টালিকা। অথচ নাম আছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায়। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় দলের প্রশ্নের মুখে পড়েই ভ্যাবাচাকা খেয়ে গেলেন মহিলা। কেন্দ্রীয় দলের প্রশ্নের মুখে মেয়েকে 'জা' বলে পরিচয় দিলেন তিনি। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল। পরে ওই মহিলা দাবি করেন, ভয় পেয়ে এমন কাজ করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে আবাস দুর্নীতিতে যে বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আজ (শুক্রবার) পূর্ব মেদিনীপুর মহিষাদলের গেঁওখালিতে আসেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। স্থানীয় ঠিকাদার ইসমাইল শেখের বাড়িতেও আসেন। সেইসময় কেন্দ্রীয় দলের প্রশ্নের মুখে পড়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নিজের মেয়েকে ‘জা’ (ভাইয়ের বউ) হিসেবে ইসমাইলের স্ত্রী সাবিরা বিবি দাবি করেন। সঙ্গে দাবি করেন, পাশের বাড়িটি তাঁর জায়ের (যিনি আদতে মেয়ে)।
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সাবিরার পর্দাফাঁস হয়ে যায়। জানা যায়, যে মহিলাকে ‘জা’ বলেছেন, তিনি আদতে সাবিরার মেয়ে। বাড়ির পাশে যে পেল্লায় দুটি অট্টালিকা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলি তাঁদের বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তা সত্ত্বেও আবাস যোজনায় তালিকায় তাঁদের নাম আছে। সেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই মেয়েকে ‘জা’ বানিয়ে দেন সাবিরা।
সেই মিথ্যা ফাঁস হয়ে যেতেই সাবিরাকে উদ্দেশ্য করে প্রশাসনের এক আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, 'আপনাকে এতবার জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি একবারও বলেননি। এটা শোভা পায়? মা মেয়েকে চিনতে পারছে না? মেয়ে মা'কে চিনতে পারছেন না?' তাঁকে উদ্দেশ্য করে আরও কিছু কথা বলতে থাকেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Dinhata: ‘আবাস যোজনায় টাকা খেয়েছেন আধিকারিকরা!’ ব্লক অফিসে শাসানি TMC'র, ভাঙচুর
বিষয়টি নিয়ে পরে ওই ঠিকাদারের স্ত্রী সাবিরা বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলিনি। (আমার মেয়ে পাশের পাকা বাড়িতে থাকে) কে বলেছে? ওটা মেয়ের বাড়ি। আমরা ভয় খেয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওদেরকে জা বলেছিলাম। ভয়ে (জা) বলেছিলাম।’
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
সেই উদ্ভট ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বুঝতেই পারেনি যে এখানে রাজতন্ত্র চলছে। রাজার ইচ্ছায় (সব কাজ) করছে। বিজেপি কোনও ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবে না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় যাঁর নাম থাকার কথা, তাঁর নাম থাকবে - সে তিনি সিপিআইএম, বিজেপি বা কংগ্রেস - যে দলই করুক না কেন।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)