বিশ্বভারতীর পরিচালন সমিতিতে (ইসি) আচার্য নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত সদস্যকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিল কর্তৃপক্ষ। এই সদস্যের নাম দুলালচন্দ্র ঘোষ। যাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর অপরাধ, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা। আবার পেনশনভোগীদের আন্দোলন সমর্থনও করেছিলেন তিনি। এমনকী ক্ষমা না চাইলে ইসি বৈঠকে দুলালকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না বলেও বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বভারতী সমঝে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও নিজের অবস্থানে অনড় দুলাল। তাঁর হুঁশিয়ারি, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জানাবেন। উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ ইমেল করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দুলাল বিশ্বভারতীর নিয়ম ভেঙে পেনশনভোগীদের আন্দোলন সামিল হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে নানা বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। যার জেরে ইসি’র বৈঠকের গোপনীয়তা প্রকাশ্যে আসছে বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
জানা গিয়েছে, আগামী বৈঠকে দুলালচন্দ্র ঘোষকে ক্ষমা প্রার্থনা চাইতে হবে বলে নিদান দেওয়া হয়েছে। না হলে তাঁকে আর বৈঠক অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। সম্প্রতি প্রকাশ্যে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছিলেন দুলাল। চলতি মাসে ইসি’র বৈঠকও বয়কট করেন তিনি। দুলাল ঘোষের কথায়, ‘উপাচার্যের তিরষ্কার আমার কাছে পুরস্কার প্রাপ্তির সমান। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পরিচালন সমিতির সদস্যপদের মেয়াদ আছে। আমি মনে করি বিশ্বভারতীর উন্নয়ন ও শৃঙ্খলারক্ষার স্বার্থে পক্ষপাতিত্ব করিনি। সেজন্য এই তিরষ্কার। আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আমাকে মনোনীত করেছেন। এই চিঠি নিয়ম বহির্ভূত। সবাই জানে উপাচার্যের ভুল পদক্ষেপের বিরোধিতা করলে এমন পদক্ষেপ করেন উনি।’