ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপট কতটা ছিল? ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? তা খতিয়ে দেখতে আগামিকাল ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্ব মেদিনীপুর-সহ আকাশপথে দুই রাজ্যের একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে খবর, আগামিকাল প্রথমে ভুবনেশ্বরে যাবেন মোদী। সেখানে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। তারপর আকাশপথে বালাসোর, ভদ্রক এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। শেষে পশ্চিমবঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক সারবেন মোদী। যিনি গত বছর আমফানের তাণ্ডবের পরও পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আকাশপথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন।
তবে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন না মোদী। বৃহস্পতিবার দু'জনের সংক্ষিপ্ত বৈঠক হবে। মমতা জানান, ওড়িশা থেকে আসবেন মোদী। দিঘার উপর দিয়ে আসবেন। তারপর কলাইকুন্ডায় ১৫ মিনিটের বৈঠক হবে। ২ টো ১৫ মিনিট থেকে ২ টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত সেই পর্যালোচনা বৈঠক চলবে। সেখান থেকে দিল্লি উড়ে যাবেন মোদী। কিন্তু ইয়াস এবং ভরা কোটালের প্রভাবে তো দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে কি যাবেন প্রধানমন্ত্রী? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন মমতা।
উল্লেখ্য, বুধবার ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটারের জন্য ওড়িশায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৩০ কিলোমিটার কম গতিতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার ফলে তাণ্ডব চললেও ওড়িশায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। দু'জনের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। উপকূলবর্তী একাধিক গ্রামও জলবন্দি হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু ভরা কোটালের যুগলবন্দিতে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনার উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে একজনের খোঁজ মেলেনি। সাগরের এক শিশুও নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।