বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পর খড়গপুর আইআইটির সমাবর্তনে ভার্চুয়ালি যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার তিনি ছাত্রছাত্রীদের তিনটি মন্ত্র দেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের পছন্দ করা রাস্তায় চলার পথে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন—এটা কি সঠিক পথ? এই পথে কি লোকসান হতে পারে? সময় নষ্ট হতে পারে? এই প্রশ্নগুলির তিনটে উত্তর আছে। এক, সচেতনতা। দুই, আত্মবিশ্বাস এবং তিন, নিঃস্বার্থতা। নিজেদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যান এই মনোভাব নিয়ে।’
ভারত এখন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গবেষণা এবং নতুনত্ব ভাবনায় বিশ্বের দরবারে চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছে আইআইটি। যা দেশের কাজে সাহায্য করছে। আপনাদের স্বাস্থ্যের উপরও কাজ করতে হবে। এখানে আমি যন্ত্রের কথা বলছি না। আমি পরিবেশবান্ধব বিষয়ে বলতে চাইছি। আমাদের সমাধান দিতে হবে জাতির কাছে প্রতিরোধ থেকে নিরাময় পর্যন্ত।’
আইআইটির পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে আত্মনির্ভরতার উপযোগিতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। মোদীর ভাষণে উঠে আসে স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার অবদানের কথা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ–স্তুতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বড় বাজার তৈরি হয়েছে দেশে। মানুষ এখন বাড়িতে রাখতে শুরু করেছে রক্তচাপ, সুগার এবং অক্সিজেনের মেশিন। একুশ শতকের ভারত বদলেছে। এখন আইআইটি আর শুধু ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট নয়, বরং আইআইটি এখন ইনস্টিটিউট অফ ইনডিজিনিয়াস টেকনোলজি অর্থাৎ ভারতীয় প্রযুক্তিকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া দায়িত্ব তাঁদের।’
তাঁদের।’