যেন চোরাশিকারিদের ডেরা হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের আজমলমারির জঙ্গল। ২০০৮ সালে এই জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে মাথায় গুলিবিদ্ধ এক বাঘের দেহ উদ্ধার হয়। পরের বছর একই জঙ্গলে মেলে বাঘের কঙ্কাল। এর ১০ বছর পর ২০১৯ সালে এখানেই পাওয়া যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের পচাগলা দেহ আর তার পাশে জাল। চোরাশিকারিদের এই চক্র যে এখনও সক্রিয় রয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গেল শনিবার।
এদিন ভোরে প্রায় ১৩ কিলো হরিণের মাংস ও ৪০ ফুট লম্বা জাল–সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সুন্দরবন সংলগ্ন এক গ্রাম থেকে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মণীন্দ্রনাথ দাস (৩৭)। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য বন্যপ্রাণ ওয়ার্ডেন বি কে যাদব জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে ওই চিতল হরিণটিকে সুন্দরবনের আজমলমারির জঙ্গলের কোথাও একটা শিকার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়া সুন্দরবন ম্যানগ্রোভে বসবাসকারী বাঘের একমাত্র ঠিকানা। আর এদিনের ঘটনা সুন্দরবনে বসবাসকারী প্রায় শ’খানেক বাঘের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে। এদিকে, বনকর্তা বি কে যাদব আরও জানান যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের খোঁজে চারিদিকে যৌথ তল্লাশি শুরু হয়েছে।