পোলবা পুলকার দুর্ঘটনায় আহত ঋষভের মৃত্যুতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পুলকার চালক শেখ সামিমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা প্রয়োগ করতে চলেছেন তদন্তকারীরা। সেজন্য চুঁচুড়া আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার হুগলির শ্যাওড়াফুলি থেকে শেখ সামিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুর্ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল সামিম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সামিম শ্যাওড়াফুলিরই বাসিন্দা। শুক্রবার তাঁকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে। সঙ্গে যোগ হয় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবহেলা করে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও বেপরোয়া গাড়ির ভারসাম্য না রাখতে পারার মতো ধারা। তদন্তকারীদের দাবি মেনে সামিমকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান তদন্তকারীরা।
শুক্রবার ভোরে ঋষভের মৃত্যুর পর পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার ধারা বদল করে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা প্রয়োগ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও ধৃত সামিমের দাবি, গাড়িটি তার হলেও চালকের আসনে ছিলেন না তিনি। ফলে দুর্ঘটনার দায় তাঁর নয়।
পোলবা পুলকার দুর্ঘটনার পর তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় প্রতিদিন বৈদ্যবাটির একটি পেট্রল পাম্পে এক গাড়ি থেকে ছাত্রছাত্রীদের নামিয়ে অন্য গাড়িতে তুলত চালকরা। শ্রীরামপুর থেকে নিজের গাড়িতে পড়ুয়াদের তুলত সামিম। পবিত্র বলে আরেক যুবক বৈদ্যবাটিতে পড়ুয়া তুলত। বৈদ্যবাটিতে গাড়ি বদল করে সমস্ত পড়ুয়াদের একটি গাড়িতে করেই পৌঁছে দেওয়া হত স্কুলে। অভিভাবকদের অভিযোগ, তারা সামিমের ওপর ভরসা করে সন্তানদের ছেড়েছিলেন। পবিত্রকে চিনতেনও না তাঁরা।