আরজি করের ঘটনায় তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে গোটা রাজ্যে। সেই আবহে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করায় এক গৃহশিক্ষককে শাস্তি দিল নির্যাতিতার পরিবার। কান ধরে ওঠবোস করানো হল ওই গৃহশিক্ষককে। আর তারপরেই পুলিশও ব্যবস্থা গ্রহণ করল। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়ো দেখার পরেই তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির উত্তরপাড়া থানা এলাকায়।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মাঝ রাস্তায় অ্যাপ বাইক থামিয়ে বিমান সেবিকার শ্লীলতাহানি, ধৃত চালক
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত হলেন জীবনবিজ্ঞানের গৃহশিক্ষক। উত্তরপাড়া থানা এলাকার হিন্দমোটরে তার বাড়ি। নিজের বাড়িতেই টিউশন পড়ান তিনি। প্রতিদিন একশোর কাছাকাছি ছাত্রছাত্রীকে নিজের বাড়িতে পড়ান তিনি। সেরকমই নির্যাতিতা ছাত্রীও অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের কাছে নিয়মিত পড়তে যেত। অভিযোগ, দিন তিনেক আগে ঘটনাটি ঘটে। একাদশের ওই ছাত্রী শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল। তখন বিকেল ৪টে। সেই সময় শিক্ষকের বাড়িতে ওই ছাত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগেই গৃহশিক্ষক তার শ্লীলতাহানি করে। এরপর ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে সব কথা তার মাকে জানায়। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে। এলাকায় ঘটনার খবর জানাজানি হতে দেরি হয়নি।
এরপর ওই ছাত্রীর মা গৃহশিক্ষকের বাড়িতে যান। সেই সময় আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সেখানেই ছাত্রীর মা গৃহশিক্ষককে চেপে ধরেন। সেখানেই তিনি গৃহশিক্ষককে কান ধরে ওঠবোস করতে বলেন। গৃহশিক্ষকও চাপে পড়ে কান ধরে ওঠবোস করতে বাধ্য হন। এদিকে, স্থানীয় এক বাসিন্দা তার ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। পরে ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই তা চোখে পড়ে পুলিশের। এরপর পুলিশ ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে।
পুলিশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত ঘটনা জানতে পারে। পরে সোমবার ছাত্রীর মা গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করে। নির্যাতিতা নাবালিকা হওয়ায় গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হবে। যদিও অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তার বক্তব্য, যা বলার তার আইনজীবী এ বিষয়ে আদালতে বলবেন। এই ঘটনায় অভিযুক্তর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। তিনি আরও কোনও ছাত্রীর সঙ্গে এই ধরনের কাজ করেছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।