এবার ৭০ বছরের পুরনো কীর্তন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বিরুদ্ধে। তাও আবার কোচবিহার শহরে। শহরের পুরনো পোস্ট অফিস পাড়ায় শুক্রবার রাতে পুলিশ মত্ত অবস্থায় গিয়ে কীর্তন বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। যদিও পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের দাবি, কীর্তন নয়, শুধু লাউড স্পিকার বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - ‘দিলীপ ঘোষকে যেভাবে উত্যক্ত করা হয়েছে...!’ দলের তরফে পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু
আরও পড়ুন - হুইপ জারির পরও সকলে উপস্থিত নন, কারা অনুপস্থিত? তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল
আরও পড়ুন - স্ত্রীকে বেদম মারছিল মদ্যপ স্বামী, বাঁচাতে গেলে শ্যালকের কান কামড়াল জামাইবাবু
ঘটনা শুক্রবার গভীর রাতের। কোচবিহার শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ায় ৭০ বছর ধরে বসছে কীর্তনের আর। এবছরও সেখানে অষ্টপ্রহর কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, শুক্রবার রাত ২টো নাগাদ যখন রাসের দল মঞ্চে উঠবে তখন সেখানে মত্ত অবস্থায় হাজির হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। মাইক বন্ধ করে দেন তাঁরা। এই নিয়ে কীর্তনের আয়োজকদের সঙ্গে তাঁদের তুমুল বিবাদ বাঁধে। অভিযোগ, তখন সেখানে উপস্থিত মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন মত্ত পুরুষ পুলিশকর্মীরা। কিন্তু স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়। এর পর আসে ব়্যাফ। তারা মাইক বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। পুলিশের দাবি, মাইক বাজানো নিয়ে তাদের কাছে স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন। তাই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। তিনি লেখেন, ‘এই কীর্তনের সঙ্গে মানুষের ভাবাবেগ জড়িত। সেই কীর্তন বন্ধ করে দেওয়া হল।’ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে শনিবার সেই কীর্তনে যান তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত ছিল।’
পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘গভীর রাতে লাউড স্পিকার বাজানোয় তাঁর সমস্যা হচ্ছে বলে স্থানীয় এক ব্যক্তি বার বার থানায় ফোন করে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। তাই পুলিশ পদক্ষেপ করেছে। লাউড স্পিকার বন্ধ করা হয়েছে, কীর্তন বন্ধ করা হয়নি।’ কীর্তন কমিটির এক কর্তা বলেন, ‘রাতে আওয়াজ কমিয়েই আমরা কীর্তন করছিলাম। পুলিশ মত্ত অবস্থায় এসে মাইক বন্ধ করে দেয়। মাইক ছাড়া কীর্তন করা যায় না। মাইক বন্ধ মানে কীর্তন বন্ধ।’