বুধবার সন্ধায় চোর সন্দেহে বারুইপুরে এক যুবককে পিটিয়ে কুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। এই ঘটনায় আরও অনেকে অভিযুক্ত রয়েছে পুলিশ তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। আজ তাদের বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় বারুইপুর থানার পিয়ালী এলাকায় জাগরণী ক্লাবের উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় দুই যুবককে চোর সন্দেহে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ ছিল, ওই দুই যুবক একটি বাড়িতে চুরি করার উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু তাদের হাতেনাতে তারা ধরে ফেলেন। এরপরে চলে গণপিটুনি। এলাকার যুবকরা ল্যাম্পপোস্টে দুই যুবককে বেঁধে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনায় খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। দুজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত যুবকের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিজয় সর্দার। ওই দুই যুবক জীবনতলা থানার বৈরাগী পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তারা পেশায় রাজমিস্ত্রি। ঘটনাস্থল থেকে তাদের বাড়ির দূরত্ব ছিল মাত্র ২০০ মিটার। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে ওই এলাকায় বিভিন্ন চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার সঙ্গে বিজয় সর্দার এবং তার পরিবারের লোকজন জড়িত ছিল। তাই এদিনও চুরি করতে ঢুকেছিল বিজয় সহ দুই যুবক। তবে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনার পরে পরিবারের তরফে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে বিজয়কে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তোলা হয়। সেই ঘটনার তদন্ত নেমে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।