পূর্ব বর্ধমানে জামালপুর ব্লকের বেরুগ্রামে বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় এক ব্যক্তি এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছিলেন এবং মানুষকে মারধর করছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত চাঁদ শেখকে আটক করার চেষ্টা করলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফরাক্কায় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা, জখম তিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও দুই পুলিশকর্মী
জানা যাচ্ছে, পুলিশ ভ্যানে চাঁদকে তুলে নেওয়ার সময়ে একাংশ গ্রামবাসী গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায়। তারা দাবি করে, চাঁদকে তাদের হাতে ছাড়তে হবে এবং তারা নিজস্বভাবে তার বিচার করবেন। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও, কয়েকজন গ্রামবাসী আচমকা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। লাঠি, রড ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়, যার ফলে তিন জন পুলিশকর্মী আহত হন। এর পরও পুলিশ চাঁদকে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনার রাতে বর্ধমান দক্ষিণের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ৬ জনকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল জানান, পুলিশকে হামলার শিকার হতে দেওয়া হবে না। এলাকা জুড়ে তল্লাশি অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাঁদ শেখের দাদা ফিরোজ শেখের নামে আগে থেকেই এলাকার শান্তি-ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো, সরকারি জায়গা দখল, এবং স্থানীয়দের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ জমা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদ সেই প্রেক্ষাপটে মদ্যপ অবস্থায় এলাকায় অশান্তি শুরু করে এবং পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশের উপর হামলার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।