পুলিশ পরিচয় দিয়ে নাকা চেকিং চালাত দুষ্কৃতীরা। আর সেই সুযোগ নিয়েই সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিত টাকা,গয়না। এমন ঘটনায় ২ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া শহর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা আন্তঃরাজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বলে মনে করছে পুলিশ। তাদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলেই পুলিশের অনুমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। পুরুলিয়া শহরে হোটেল ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছিনতাই করত এই চক্রটি। বেশ কিছদিন হল পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত। মহিলাদের শরীরে সোনার গয়না দেখলেই দুষ্কৃতীরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে পরামর্শ দিত সেই গয়না ছিনতাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর সেই গয়না খুলে প্যাকেট করে দেওয়ার নাম করে তা বদলে নকল গয়না প্যাকেট করে দিত দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা সেখান থেকে চম্পট দিত। মূলত বয়স্ক মহিলাদের টার্গেট করত এই চক্রটি। এই চক্রের আরও ৩ সদস্যের খোঁজ পেয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশকে সতর্ক করে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। সেখানেই ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে জামশেদপুর থানার পুলিশ। পুরুলিয়া থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের নাম আলি রেজা ও তানবীর হোসেন। তাদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশে।
পুলিশ জানিয়েছে, মূলত গ্রাম থেকে শহরে ঢুকছে এই সমস্ত রাস্তায় পুলিশ সেজে নাকা চেকিং চালাত দুষ্কৃতীরা। এরপর তারা নিরাপত্তার কথা বলে বয়স্ক মহিলাদের কাছ থেকে সোনার গয়না নিয়ে নিত। পাশাপাশি তারা জাল নোট পাচার চক্রের সঙ্গেও জড়িত। এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। আর অভিযোগ পাওয়ার পরে পুরুলিয়া জেলার পুলিশ তদন্তে নেমে অবশেষে দুজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাকিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।