আরজি করের ঘটনা হাসপাতাল চত্বরে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। সেই আবহে এবার হাসপাতালের মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীদের নিরপত্তা নিয়েই উঠল প্রশ্ন। হাসপাতাল চত্বরে পুলিশের উইনার্স টিমের মহিলা সদস্যদের উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল হাসপাতালে কর্মরত ২ ঠিকা কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় দুই ঠিকা কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও অভিযোগ, ওই ঠিকা কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সদর হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তাররা যেখানে এখনও অনড় বিক্ষোভে এবং বলছেন যে উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়নি, সেখানে এরকম ঘটনা নিশ্চিত ভাবেই তাদের দাবিকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে পূর্ত দফতরের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে রাতের শিফটে থাকা কয়েকজন ঠিকা কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তারা মহিলা পুলিশদের লক্ষ্য করে কটুক্তি করে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আরজি কর কণ্ডের পরেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশি সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ আউট পোস্টও তৈরি করা হয়েছে। সেরকমই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ এবং সদর হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে সদর হাসপাতালে টহলদারিতে বেরিয়েছিলেন স্থানীয় মহিলা থানার পুলিশ কর্মী এবং উইনার্স টিমের সদস্যরা। সেই সময় পূর্ত দফতরের ইলেকট্রিক বিভাগে কর্মরত ওই ঠিকা কর্মীরা মহিলা পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে। ঘটনায় মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এর পরেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার পুলিশ দুজনকে থানায় নিয়ে যায়। এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খন্ড বহালে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতেই নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল চত্বরের একটি ঘরে মদ্যপান করার অভিযোগ ওঠে পূর্ত দফতরের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। তার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেই পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের নাম রাজা মিত্র এবং অমিয় বিশ্বাস। দু’জনেই কৃষ্ণনগরের হাটখোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পূর্ত দফতরের দাবি, তারা হলেন ঠিকা কর্মী। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা নিয়ে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করেছে যে কেনও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে।