মোবাইল ছিনতাই করে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। তদন্তে নেমে ২ ছিনতাইকারীকে ছাড়িয়ে আনল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোন।
গত ১১ মে হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা এলাকায় এক ছাত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়। রাস্তা দিয়ে ফোন কানে ধরে আনমনে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছিলেন তরুণী। তখনই তাঁর ফোনটি ছোঁ মেরে নিয়ে যায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবক। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। তা থেকে চিহ্নিত করা হয় এক দুষ্কৃতীকে। তার সন্ধানে নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে লিলুয়ায় একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের ভর্তি।
লিলুয়ার সেই নেশামুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন ১১ মে নিজেই সেখানে ভর্তি হয়েছে অভিযুক্ত। বিশ্বনাথ দাস নামে ওই যুবককে নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে মুক্ত করেন পুলিশ আধিকারিকরাই। সঙ্গে সুপ্রভাত প্রামাণিক নামে আরও এক যুবককে নিয়ে আসেন তাঁরা। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোন।
মালিপাঁচঘরা থানার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাওড়ার ডোমজুড় ও লিলুয়ার ২টি নেশামুক্তি কেন্দ্রে আত্মগোপন করে থাকছে বিভিন্ন ছিঁচকে অপরাধীরা। বেশ কিছুদিন পর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গেলে সেখান থেকে বেরোচ্ছে তারা। এই নিয়ে লিলুয়ার হোমটির মালিক জানিয়েছেন, তাঁর কিছুই জানা ছিল না।