পয়গম্বর বিতর্কে উত্তাল রাজ্য। তারইমধ্যে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেংরি ডাঙ্গা মেদিয়াপাড়া এলাকা। হাতাহাতি থেকে শুরু করে চলল ব্যাপক ইট, বাদ যায়নি বোমাবাজিও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে টাইম কলের জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসায় জড়িয়ে পড়ে মহিলারা। পানীয় জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকায় বিবাদ দীর্ঘদিনের। আজ দুই গোষ্ঠীর সে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। প্রথমে বচসা, পরবর্তীতে সেই বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। এর পরেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি চলতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছন রানাঘাট মহাকুমার এসডিপিও। বোমাবাজি এবং ইঁট বৃষ্টির জেরে আহত হন চার পুলিশ কর্মী।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এরপরই ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পুলিশের তরফ থেকে শুরু হয় লাঠিচার্জ এবং ধরপাকড়। ঘটনায় ২০ জনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বহু তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী টহলদারী করছে। ঘটনার জেরে এখনও উত্তপ্ত গোটা এলাকা। কী কারণে এই ঘটনা এবং এই বোমাবাজির পিছনে কারা জড়িত পুলিশ তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।