নন্দীগ্রাম দিবসে তৃণমূলের শহিদ স্মরণের মঞ্চ পোড়ানোর অভিযোগে তিন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম কার্তিক বারিক, গৌরাঙ্গ মণ্ডল ও সঞ্জীব মণ্ডল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ৩ বিজেপি কর্মীকে খেজুরি থেকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। যার মধ্যে একেবারে প্রথমে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম। অভিযোগ পাওয়ার গতকাল রাতে পুলিশ বিজেপি নেতা মেঘনাথ পালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। আর তারপরেই এই তিনজনকে গ্রেফতার করল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পূর্ব মেদিনীপুরের গোকুলনগরের করপল্লিতে নন্দীগ্রাম দিবসে আলাদা আলাদা সভা করে তৃণমূল এবং বিজেপি। রাতে তৃণমূলের মঞ্চ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকী এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা কর্মীদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। পরে ২২ জনের নামে পুলিশ এফআইআর করে। তারপরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা খেজুরিতে আত্মগোপন করেছিল। আগামীকাল তাদের হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত তৃণমূল বলছিল নন্দীগ্রামে বিজেপি নেই, শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থন নেই। শুভেন্দু অধিকারী লোডশেডিং করে জয়ী হয়েছেন।’ এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো একটা সাধারণ ঘটনায় বিরোধী দলনেতাকে তৃণমূল অভিযুক্ত করছে। বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূলের অবস্থান কোথায় আছে। আগামী দিনে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না।’
অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি নেতারা ঠিক করে দিচ্ছেন কার বাড়িতে সিবিআই যাবে, কার বাড়িতে এনআইএ যাবে। তখন খুব আনন্দ হচ্ছে। আর এখন নিজেরা অপরাধ করে তৃণমূলকে দোষী করলে হবে না। আমাদের ছেলেদের মিথ্যা মামলায় জড়াবেন আর আপনাদের ছেলেরা কেন্দ্রকে দেখিয়ে বাড়িতে ঘুমাবে! দুটো একসঙ্গে হবে না।’