বীরভূমের নানুরে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা তিনজনই তৃণমূল কর্মী। তাদের নাম হল বাবরআলি শেখ, শেখ চাঁদ এবং শেখ মহিউদ্দিন। নানুরের সাঁতরা গ্রামের বাসিন্দা ও প্রাক্তন তৃণমূল কর্মী বসির শেখকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল।
গত শুক্রবার বসিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। তদের অভিযোগ ছিল, যারা বসিরকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তারা তৃণমূলের লোকজন ছিল। এই ঘটনায় তিনজন তৃণমূল নেতা সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বসিরের দাদা নাসিম শেখ। তারপরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের নানুরের সাঁতরা গ্রামের বাসিন্দা বসির শেখ। গরু পাচার মামলায় নাম জড়ানো তৃণমূল নেতা ও বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবদুল করিম খানের বাড়ির ঠিক পাশেই বসির শেখের বাড়ি। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে বসির শেখ তৃণমূল করতেন। তবে বছর দুয়েক আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে কোনও দলই তিনি করেন না। কিন্তু, তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার পরেই তাকে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তাদের অভিযোগ, গত শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় গ্রামেরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজা শেখ ও খেলোন শেখ এই দুজনের নেতৃত্বে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বসিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপরে আর সে বাড়ি ফেরেনি।
কিছুক্ষণ পরে গ্রামের মাঠ থেকে বসিরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই তৃণমূল নেতারা কর্মীরাই তাকে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরিবারের আরও দাবি, বসিরের বিরুদ্ধে চুরি করার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় তারা দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।