গড়িয়ায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তাতে মহিলা সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। অভিযোগ পেয়েই এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। শনিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হল-তারক দাস, অসিত হালদার, গোপাল দেবনাথ এবং টুকাই জোশ। অভিযোগে নির্দিষ্টভাবে তাদের নাম রয়েছে। এছাড়াও, আরও অনেকের নামে অভিযোগ রয়েছে। তারা পলাতক। তাদের খোঁজ করছে পুলিশ। এদিনের ঘটনায় ধৃতরা জলপোল এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের? তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, নামল র্যাফ, আটক ১৩
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা পিন্টু দেবনাথের কার্যালয় গড়িয়া ষ্টেশন সংলগ্ন ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে। কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করার জন্য এই অফিসে রোজই এলাকার বহু মানুষ আসেন। কেউ ব্যক্তিগত কাজে আবার কেউ সরকারি কাজে কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করেন। শনিবারও অনেকেই এসছিলেন। সেই সময় আচমকা কিছু দুষ্কৃতী বাঁশ লাঠি নিয়ে এসে পার্টি অফিসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা জয় পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিল। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হন ৩ জন। যদিও ঘটনার সময় কাউন্সিলর অফিসে ছিলেন না। তবে খবর পেয়েই থানায় অভিযোগ করেন কাউন্সিলর। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্টি অফিস। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পুরানো শত্রুতার জেরেই এই হামলা।
কাউন্সিলরের অভিযোগ, জলপোল নামের ওই বস্তিতে একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে নানা ধরনের অবৈধ কাজ চলে। তারাই কাউন্সিলরের অফিসে হামলা চালায়। এই ঘটনায় পুলিশ তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে। তারপরেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি আজ রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার তদন্তে আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ধৃতদের বারুইপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিনের হামলার ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে দাবি। তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।