রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছিলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেই সময় হঠাৎই এক ব্যক্তি ধারাল অস্ত্র দিয়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে আঘাত করল। ঘটনায় গুরুতর আহত হন সিভিক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের চড়িয়াল মোড়ে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সরস্বতী প্রতিমার ভাসানে ডিজে বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, মাথা ফাটল SI-এর
জানা গিয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম উত্তমচন্দ্র প্রামাণিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চড়িয়ালের ৭৬ রোডের দিক থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের হাতে একটি বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসছিল। এরপর সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাছে আসতেই ব্যাগ থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে এবং হঠাৎ চড়িয়াল মোড়ে কর্মরত ওই সিভিককে দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয়রা তা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটি আসে। এর পাশাপাশি সেখানে থাকা ট্রাফিকের পুলিশের কর্মীরাও সেখানে ছুটে আসেন। পুলিশ অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আহত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বজবজের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
যদিও কী কারণে এই হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, উত্তম এদিন রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের নাম বিনয় কয়াল। সে খড়িবেড়িয়ার বাসিন্দা। ইতিমধ্যে তাকে গ্রেফতার করেছে বজবজ থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ধারালো অস্ত্রটিও। জানা গিয়েছে, সিভিক হলেন চন্ডিপুরের বাসিন্দা। এখন সিভিক ভলান্টিয়ারকে অভিযুক্ত আগে থেকে চিনত কি না পুরোনো শত্রুতা ছিল কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ এবং সিভিকের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরস্বতী পুজোর সময় ভাসানকে কেন্দ্র করে কলকাতার গার্ডেনরিচে ২ ক্লাবের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে পুলিশ পৌঁছলে ক্লাবের সদস্যদের হামলার মুখে পড়েছিলেন এক মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার। এছাড়া, সম্প্রতি মালদার কালিয়াচকে অভিযান চালানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। যদিও ঘটনায় আহত হননি কেউ। এছাড়াও বীরভূম সহ বেশ কিছু জায়গায় পুলিশকে হামলার অভিযোগ উঠেছে।