বিমানে করেই গাঁজা পাচারের পরিকল্পনা ছিল যাত্রীর। সেই উদ্দেশ্যে যাত্রী বিমানে ওঠার জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন বাগডোগরা বিমানবন্দরে। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। ব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে এল গাঁজা। যাত্রীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সিআইএসএফ। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় বাগডোগরা থানার পুলিশের হাতে। ধৃত যাত্রীর নাম বিশ্বজিৎ রায়। অন্যদিকে, পৃথক একটি মাদক পাচারের মামলায় দুই পাচারকারীর সাজা ঘোষণা করেছে কলকাতার আদালত। যার মধ্যে একজনের ১৫ বছর এবং অন্যজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুরগির গাড়ির আড়ালে মাদক পাচারের চেষ্টা, উদ্ধার ২৩৫ কেজি গাঁজা
বাগডোগরা বিমানবন্দরের ঘটনায় জানা গিয়েছে, ওই যাত্রী ব্যাগ নিয়ে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। তখন বাগডোগরা বিমানবন্দরের মোতায়ন থাকা সিআইএসএফ নিয়ম মেনেই যাত্রীর ব্যাগ পরীক্ষা করে দেখে। তখন ব্যাগের মধ্যে কাগজে মোড়া অবস্থায় গাঁজা পাওয়া যায়। যার পরিমাণ হল ৪ কেজি গাঁজা। কোথা থেকে এত পরিমাণ গাঁজা আসল তা নিয়ে সদুত্তর দিতে না পারায় সিআইএসএফ ওই যাত্রীকে আটক করে। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় বাগডোগরা থানার পুলিশের হাতে।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই পরিমাণ গাঁজা বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। জানা গিয়েছে, ধৃত বিশ্বজিৎ রায় কোচবিহারের বাসিন্দা। আজ ধৃত যাত্রীকে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাবে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার মূল্য লক্ষ্যাধিক টাকা।
অন্যদিকে, পৃথক একটি মামলায় কলকাতা নগর দায়ের আদালত ২ মাদক পাচারকারীকে ১৫ বছর এবং ১০ বছরের নির্দেশ দিয়েছে। কয়েক বছর আগে কলকাতা থেকে ওই দুই মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যার মধ্যে একজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল কয়েক লক্ষ টাকার চরস। পরে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অপরজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই দুজনের নাম হল অনিল দাস এবং শামসের আলম। সরকারি আইনজীবী শেখ রহমত আলি জানান, বিশেষ এনডিপিএস আদালতের বিচারক রোহণ সিনহা ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অনিল দাসকে। সেই সঙ্গে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। আরেক অভিযুক্ত সামসের আলমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। এই মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল।