হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে পেটের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন গৃহবধূ। আর সেই সুযোগ নিয়ে ওই গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ করল ডাক্তার। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমা থানা এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার বাসুদেব শিটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ তাকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই হাতুড়ে ডাক্তার হিসেবে চিকিৎসা করছে। অভিযুক্ত বাসুদেব শিট। অভিযুক্ত চিকিৎসক চিন্তামনিপুরের বাসিন্দা। গৃহবধূও ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে অনেক ডাক্তারও দেখিয়েছেন। কিন্তু, সুরাহা না মেলায় তিনি এলাকার ওই হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে যান। গত ডিসেম্বরে তিনি ওই চিকিৎসকের কাছে পেটের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ওই রাতেই গৃহবধূকে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে হাতুড়ে ডাক্তার। এমনকী বিষয়টি যাতে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য সে গৃহবধূকে খুনের হুমকিও দিয়েছিল। তবে শেষমেষ গৃহবধূ বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। এর পরে পুলিশের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানান।
গত রবিবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ ওই ডাক্তারকে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতকে কাকদ্বীপে মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তার ভিত্তিকে ডাক্তারকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাসুদেব শিটের বিরুদ্ধে ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পরেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয়রা অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।