দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ফেরার ছিলেন কোচবিহারের ঘুঘুমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের হিরারকুঠি গ্রামের বাসিন্দা নরেশ দাস। প্রায় বছর ২০ আগে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই পুলিশের খাতায় ফেরার তিনি। পুলিশের দাবি বহু জায়গায় খুঁজেও নরেশের খোঁজ মেলেনি। এদিকও নরেশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে দিব্যি ছিলেন। কিন্তু বাদ সাধল করোনা টিকাকরণ। সবাই যখন করোনার টিকা নিচ্ছেন তখন নরেশই বা বাদ থাকে কেন?
সম্প্রতি গুটি গুটি পায়ে টিকার লাইনে দাঁড়়িয়েছিলেন নরেশ। এদিকে পুলিশও গোপন সূত্রে খবর পায় টিকা নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে নরেশ। এরপরই হাওয়াগাড়ি টিকাকরণকেন্দ্র ঘিরে ফেলে পুলিশ। এদিকে নরেশ প্রথমদিকে ব্যাপারটা আঁচ করতে পারেননি। ধীরে ধীরে নরেশের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় পুলিশ। এরপরই খপ করে তাকে ধরে ফেলে। ২০ বছর ধরে ফেরার ছিল যে নরেশ সে যে এমনভাবে ধরা পড়ে যাবে তা বুঝতেও পারেননি বাসিন্দারা। তবে পুলিশ যখন তাকে ধরে তখনও তার টিকা নেওয়া হয়নি। এরপর পুলিশ তাকে নিয়ে টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে। টিকা দেওয়ানোর পরেই পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। কোচিবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে ২০ বছর ধরে বেপাত্তা ছিল ওই অভিযুক্ত। ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল ওই ব্যক্তির। গোপন সূ্ত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।