আগামীকাল ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে নন্দীগ্রামে। তার আগে সেখানে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সেই ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও অধরা। তারই মধ্যে অন্য একটি ঘটনায় গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি নেতা। নন্দীগ্রামের এক নম্বর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি ধনঞ্জয় ঘড়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূলত শিক্ষকদের ধর্নায় হামলার অভিযোগে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিজেপির ওপর হামলা, খুন মহিলা কর্মী, প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
কোন মামলায় গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতাকে?
জানা যাচ্ছে, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার আগে ২৬,০০০ শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশের প্রতিবাদে কলেজ মোড়ে ধর্নায় বসেছিলেন শিক্ষকরা। তাদের ধর্না মঞ্চের পাশ দিয়েই বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। তবে ধর্না মঞ্চের পাশ দিয়ে মিছিল যেতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন এবং বিজেপি কর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে স্লোগান পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করে। দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে।
মিছিল ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিজেপির মিছিল থেকে শিক্ষকদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় শিক্ষকদের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তাতে নাম ছিল ওই বিজেপি নেতার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বক্তব্য, নন্দীগ্রামে যেখানে খুনের পরেও অভিযুক্তরা অধরা রয়েছে সেখানে ভোটের আগে রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের দলের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবেই তার জবাব দেওয়া হবে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে দুষ্কৃতীদের হামলায় খুন হন বিজেপি কর্মী রথীবালা আড়ি। গুরুতর আহত হন তার ছেলে তথা বিজেপি নেতা সঞ্জয় আড়ি। তারপর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে নন্দীগ্রাম। বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তাতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থানায় গিয়ে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এমনকী আইসির বিরুদ্ধে খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ তোলেন। তারই মধ্যে এবার বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।