উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বিজেপির পার্টি অফিসে ঢুকে দলীয় কর্মীদের মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। দলীয় বিধায়ক ও চোপড়ার কিশোরীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে বিজেপির ধরনায় বুধবার হামলা চালায় পুলিশ। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিজেপির ধরনা মঞ্চ খুলতে বাধ্য করেছে তারা।
হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যমৃত্যু ও চোপড়ায় কিশোরীর রহস্যমৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে মঙ্গলবার রায়গঞ্জে ধরনায় বসেছিল বিজেপি। বুধবার সেখানে পৌঁছন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, তার আগেই করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে এই কারণ দেখিয়ে বিজেপির মঞ্চ খুলে ফেলতে বাধ্য করে পুলিশ।
এর পর সেখানে পৌঁছন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পুলিশের কাছে জানতে চান, করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকলে গতকাল কী করে তৃণমূলকে ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হল? জবাবে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সেই জবাব আপনাকে দেব না।
এর পর রাজুবাবু বলেন, ছ’মাস পর আমাদেরই কৈফিয়ত দিতে হবে। তখন আপনাকে কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচাবে না।
বলে রাখি, চোপড়াকাণ্ডে নিহত অভিযুক্তের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছে। ফলে নতুন করে তদন্তের মোড় ঘোরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচন যত এগোবে তত জেলায় জেলায় নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াবে বিজেপি। সমস্ত জেলায় এই ধরণের আন্দোলনের জন্য নির্দিষ্ট নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।