এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিএসএফ জওয়ানের ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানা এলাকায়। অভিযোগ, নাবালিকাকে বিএসএফ ক্যাম্পের ভিতরে একটি আবাসনে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জওয়ানের ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বাম-BNP এক সুর! মাগুরায় ধর্ষিতা বালিকার মৃত্যু হতেই ইউনুস প্রশাসনের তুলোধোনা
জানা গিয়েছে, নাবালিকা ধূপগুড়ি মহকুমার বাসিন্দা। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার। বাড়িতে জানিয়ে গিয়েছিল, যে পরীক্ষা দিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে থাকবে। কিন্তু, পরে বুধবার রাতে নাবালিকার বান্ধবী তার বাড়িতে ফোন করে জানায় জলপাইগুড়ির রানিনগরের বিএসএফ ক্যাম্পে তাকে কয়েক জন মিলে আটকে রেখেছে। এই খবর পাওয়া মাত্রই জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্যকে সঙ্গে নিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে কোতোয়ালি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএসএফের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ নাবালিকার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে। পরে এ নিয়ে পুলিশ এবং বিএসএফের মধ্যে আলোচনার পরে ক্যাম্পের ভিতরে তল্লাশি শুরু হয়। রাত পর্যন্ত নাবালিকার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানের ছেলেকেও ধরে ফেলে পুলিশ।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, নাবালিকাকে উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় তদন্ত চলছে। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, যে বিএসএফ জওয়ানের ছেলে এবং তার কয়েকজন বন্ধু মিলে তাদের মেয়েকে আটকে রাখে। এরপর নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নাবালিকার পরিবার ধূপগুড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। তবে কীভাবে নাবালিকা বিএসএফ ক্যাম্পের ভিতরে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? যদিও নাবালিকা জানিয়েছে, সে নিজের ইচ্ছেয় সেখানে গিয়েছিল।
বিএসএফের বক্তব্য, জলপাইগুড়ির পুলিশ বিএসএফের সঙ্গে নিখোঁজ মেয়ের বিষয়ে যোগাযোগ করে। বিএসএফ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়ার পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মেয়েটিকে বিএসএফ জওয়নের ছেলের সঙ্গে তাদের কোয়ার্টারে খুঁজে পাওয়া যায়। অভিযুক্তের বাবা বর্তমানে ছুটিতে আছেন। জানা গিয়েছে, বিএসএফ জওয়ানের অভিযুক্ত ছেলে এবং মেয়েটি দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বন্ধুত্ব হয়েছিল।