আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও তেতে রয়েছে বাংলা। সেই আবহে রাজ্যে ফের এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। আর এবার শ্লীলতাহানির ঘটনায় নাম জড়াল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যের। কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার ১৬ মাইল এলাকায়। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস সদস্য।
আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজ্যপালের সম্মানহানি, জনস্বার্থ মামলা ফেরাল হাইকোর্ট
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কংগ্রেস সদস্যের নাম কালাম শেখ। তিনি কালিয়াচক থানার অন্তর্গত বীরনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।অভিযোগ উঠেছে কালিয়াচকের ১৬ মাইল এলাকার এক মহিলাকে তিনি শ্লীলতাহানি করেছেন। সেই ঘটনায় নির্যাতিতা মহিলার বাবা কালিয়াচক থানায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ এরপর কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরে আজ শুক্রবার ধৃত কংগ্রেস নেতাকে মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। ওই রাতেই কংগ্রেস সদস্যের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। হতবাক হয়ে যান স্থানীয়দের অনেকেই।
এদিকে, শ্লীলতাহানির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য কালাম শেখ। তার দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। শুক্রবার আদালতে তোলার সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, ‘আমি কিছুই করিনি আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’ তখন কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে? সাংবাদিকের সেই প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস সদস্য দাবি করেন, ভুলবশত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি এই ধরনের কোনও কাজ করেননি।
প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেশি হওয়ায় তৃণমূলের বোর্ড রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে প্রধান তৃণমূলের। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস সদস্য। তার দাবি, তৃণমূল রাজনৈতিকভাবে চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ব অথবা তৃণমূলের বা অন্যান্য বিরোধীদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।