সপ্তাহখানেক আগে বিয়ে হয়েছে। তারই মধ্যে শ্বশুরের যৌন লালসার শিকার হলেন এক নববধূ। প্রথমে খারাপভাবে স্পর্শ আর তারপরে বাড়িতে একা পেয়ে নববধূকে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনা দেগঙ্গার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বধূর অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। তবে ধর্ষণের পাশাপাশি শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন ওই মহিলা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বিয়েবাড়ি থেকে চা বাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ, ধৃত ৫
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে দেগঙ্গায় দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছে ওই বধূর। তবে অভিযোগ, বিয়ের দুদিন পর থেকেই তাঁর ওপর নেমে আসে অত্যাচার। নানা অজুহাতে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তার ওপর অত্যাচার করতে শুরু করে। শুধু এখানেই শেষ নয় গুণধর শ্বশুর তাঁর ওপর খারাপভাবে নজর দিত বলেই অভিযোগ। তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই বাড়িতে একা থাকার সুযোগে নানা অছিলায় তাঁকে স্পর্শ করতেন শ্বশুর। আর শেষ পর্যন্ত বাড়িতে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও নাকি শ্বশুর তাকে হুমকি দিয়েছিলেন। তবে বেশিদিন সেই কথা তিনি চেপে রাখতে পারেনি তরুণী। স্বামীকে তিনি সেই কথা বলে দেন। তবে অভিযোগ, তারপরে কোনও লাভ হয়নি। উল্টে তার স্বামী তাকে মারধর করেন এবং বলেন যে তার বাবা যা বলবেন তাই শুনতে হবে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, তার স্বামী বাড়িতে না থাকলেই তার উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যেত। শ্বশুরবাড়ি সকলে মিলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অপমান ও মানসিক নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ। তবে স্বামীকে বলে কোনও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তরুণী বাপের বাড়িতে বিষয়টি জানান। তারপরে তরুণীর পরিবারের লোকেরা তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দেগঙ্গা থানায় বধূ নির্যাতনের পাশাপাশি শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করে পুলিশ। নির্যাতিতার শ্বশুরবাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলার কথা। অভিযুক্ত এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। পাল্টা তিনি বৌমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।